বার্ড ফ্লু
সারা বিশ্বেই তোলপাড় চলছে বার্ড ফ্লু নিয়ে। বার্ড ফ্লু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। হাঁস-মুরগি থেকে কোনো মানুষে সংক্রমিত হলে সেই মানুষই শুধু এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলে মারা যায়। এভিয়ান ও হিউম্যান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পারস্পরিক মিউটেশনের মাধ্যমে জ্ন দিতে পারে একটি নভেল বা সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাসের। ফলে দেখা দিতে পারে বিশ্ব জুড়ে প্যানডেমিক বা মহামারি।তাই বার্ড ফ্লু প্রতিরোধখুবই জরুরি। বিষয়টি নিয়েবিস্তারিত লিখেছেন জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও এপিডেমিওলজিস্ট ডাজ্ঝ ইকবাল কবীর
বার্ড ফ্লু নিয়ে তোলপাড় কেন
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-পাখির জ্বর, মানুষের নয়। তাহলে এটা নিয়ে দুনিয়া জুড়ে এত তোলপাড়ের কারণ কী-এ প্রশ্নটা অনেকেরই। জীবনের কোনো না কোনো সময় ফ্লুতে আক্রান্ত হননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
সিজনাল ফ্লু বা ঋতুভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বার্ড ফ্লু নতুন অভিজ্ঞতা। বার্ড ফ্লু পাখির অসুখ, পাখির মড়ক-কিন্তু মানুষে হলেও আর রক্ষা থাকে না। ভাইরাস। মারাত্মক। প্রতিনিয়তই স্বভাব পাল্টায়।
সাদামাটা চরিত্রের ভাইরাস স্বভাব বদলে হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী। বার্ড ফ্লু ভাইরাসও সে রকমই। যেকোনো সময় চরিত্র বদলে মানুষের সংস্পর্শে এসে তৈরি করতে পারে আরেকটি ভয়ঙ্কর প্রজাতির নতুন ভাইরাস-দ্রুত ছড়িয়ে মহামারি তৈরি করতে পারে। সে জন্যই এটিকে নিয়ে এত তোলপাড়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিবারের ?এ? ও ?বি? ভাইরাসের রোগতাত্ত্বিক গুরুত্ব বেশি। এদের দুটো অ্যান্টিজেনিক অংশ রয়েছে। দুই ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন। হিমএগ্লুটিনিন (এইচ) ও নিউর্যামিনাইডেজ (এন)। এই গ্লাইকোপ্রোটিনগুলোর কার্যকারিতার ওপর ভিত্তি করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ?এ? ভাইরাসটিকে ১৬টি ?এইচ?(ঐ১-ঐ১৬) এবং নয়টি ?এন? (ঘ১-ঘ৯) সাব-টাইপে ভাগ করা হয়।
বার্ড ফ্লু থেকে হিউম্যান ফ্লু
ইনফ্লুয়েঞ্জা ?বি? সাধারণত মানুষেই হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ?এ? মানুষ এবং পাখিতেও হয়। বার্ড ফ্লু হয় ?এ? ভাইরাস দিয়ে। এর কিছু স্ট্রেইন বা উপপ্রজাতি খুবই মারাত্মক।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (এআই) ভাইরাসের মধ্যে আবার কম ক্ষতিকারক ও বেশি ক্ষতিকারক উপপ্রজাতি বা স্ট্রেইন রয়েছে। এ পর্যন্ত বেশি ক্ষতিকারক বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব হয়েছে এইচ৫এন১ উপপ্রজাতির কারণে। কারণ এই এইচ৫এন১ ভাইরাসটিই এ পর্যন্ত পাখি থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে। বার্ড ফ্লু থেকে হিউম্যান ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে এই এইচ৫এন১ হাইলি প্যাথজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মাধ্যমে।
দুনিয়া জুড়ে ১২টি দেশে গত পাঁচ বছরে ২৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই এইচ৫এন১ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসে। মারা গেছেন ১৬৯ জন (তথ্যসূত্র ২০ মার্চ ২০০৭, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে সর্বপ্রথম মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
ভয়ের কারণ কোথায়
বার্ড ফ্লু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। হাঁস-মুরগি থেকে কোনো মানুষে সংক্রমিত হলে সেই মানুষই শুধু এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলে মারা যায়।
হাঁস-মুরগিতে বার্ড ফ্লুর জীবাণু থাকে অন্ত্রে। আর মানুষের মধ্যে যখন আসে, তখন এটি মানুষের ফুসফুসে অবস্থান করে। এটি ঢোকে নাক-মুখ দিয়ে। অর্থাৎ সংক্রমিত হাঁস-মুরগি-পাখির বিষ্ঠা থেকে নিঃশ্বাসের সঙ্গে এই জীবাণু ফুসফুসে চলে আসতে পারে। যারা হাঁস-মুরগি ও পাখি লালন-পালন করে, পরিষ্কার করে, জবাই করে, চামড়া ছাড়ায়, কাটাকুটি করে-তাদের নাক দিয়েও এই জীবাণু ঢুকতে পারে। তীব্র শ্বাসকষ্ট থেকে হতে পারে মৃত্যু। ভয়টা এখানেই।
বার্ড ফ্লু কীভাবে ছড়ায়
ধরুন আপনি বাড়ির আঙিনায় ছোট খোঁয়াড়ে চারটি হাঁস ও চারটি মুরগি পালেন। এগুলো ডিম দেয়, পুষ্টি জোগায়। সকালবেলা হাঁস-মুরগিগুলোকে ছেড়ে দেন। সন্ধ্যায় খোঁয়াড়ে ঢোকান।
হাঁসগুলো আশপাশের পুকুরে যায় আর মুরগিগুলো এদিক-ওদিক। এইচ৫এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো বন্যপাখি, সামুদ্রিক বা শীতের অতিথি পাখি উড়ে যাওয়ার সময় বিষ্ঠা ত্যাগ করল পুকুরে, যেখানে আপনার হাঁসগুলো ভেসে বেড়ায়-পানি সংক্রমিত হলো বিষ্ঠা থেকে, হাঁস সংক্রমিত হলো পানি থেকে। সংক্রমিত হাঁসগুলো থাকে মুরগিগুলোর সঙ্গে একই খোঁয়াড়ে।
ফলে হাঁস থেকে মুরগিতে ছড়াল। সকালবেলা খোঁয়াড় খুলে হাঁস-মুরগিকে খাবার দিলেন, ডিম নিলেন প্রতিদিনের মতো। ভাইরাসটি ছড়াল আপনার মধ্যেও।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এভাবেই আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। যারা হাঁস-মুরগির খামারে কাজ করে, কিংবা হাঁস-মুরগি বেচা-কেনা, জবাই-ড্রেসিং, কাটাকুটি ও রান্না করে-তারাও আছে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীতে।
আর সে কারণেই পোলট্রিতে মুরগিনিধন জরুরি। সংক্রমণ রোধের জন্য ১০ হাজার মুরগির চেয়ে একটা মানুষের জীবনের মূল্য বেশি নয় কি?
নভেল বা নতুন ভাইরাস হতে পারে প্যানডেমিক বা মহামারির কারণ
এভিয়ান ও হিউম্যান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পারস্পরিক মিউটেশনের মাধ্যমে জ্ন দিতে পারে একটি নভেল বা সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাসের। বিগত শতাব্দীতে ১৯১৮, ১৯৫৭ ও ১৯৬৮ সালে এ ধরনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছিল মহামারি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এইচ৫এন১ এ ধরনের একটি পটেনশিয়াল ভাইরাস, যা এই শতাব্দীতে জ্ন দিতে পারে একটি নতুন প্যানডেমিকের। একটি মহামারি যখন ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তাকে প্যানডেমিক বলে।
১৯১৮-১৯ সালে প্যানডেমিক স্প্যানিশ ফ্লুতে (এইচ১এন১) চার কোটি, ১৯৫৭-৫৮ সালে প্যানডেমিক এশিয়ান ফ্লুতে (এইচ২এন২) ২০ লাখ এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে প্যানডেমিক হংকং ফ্লুতে (এইচ৩এন২) সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে গোটা বিশ্বে। বিশ্বব্যাপী এভিয়ান ফ্লু থেকে আরেকটি সম্ভাব্য প্যানডেমিকের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনের প্যানডেমিক মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
আমরা বর্তমানে প্যানডেমিক অ্যালার্ট পিরিয়ড ফেইজ থ্রিতে আছি। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়রুখে দিই বার্ড ফ্লু, রক্ষা করি বিশ্বকে আরেকটি ভয়ঙ্কর মহামারিথেকে।
হাঁস-মুরগি পালনে করণীয়
* বাড়িতে হাঁস ও মুরগি দুটোই পালন করলে-হাঁস ও মুরগি আলাদা খোঁয়াড়ে রাখুন।
* ঘরের হাঁস-মুরগির সঙ্গে বনের পাখি বা অতিথি পাখি রাখবেন না। যাঁরা বাড়িতে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করেন, তাঁরা হাঁস-মুরগি ধরা, খোঁয়াড়ে দেওয়া কিংবা ডিম সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে বিশুদ্ধ পানিতে হাত ধুয়ে ফেলুন, প্রতিবারই।
* হাঁস-মুরগি মরে গেলে খালি হাতে ধরবেন না বা নাড়াচাড়া করবেন না। পারতপক্ষে রোগাক্রান্ত হাঁস-মুরগি জবাই করা বা পালক ছাড়ানো বা কাটাকুটি থেকে বিরত থাকুন।
* রোগাক্রান্ত হাঁস-মুরগি জবাই করা বা পালক ছাড়ানো বা কাটাকুটির সময় গ্লাভ্স ব্যবহার করুন। নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
* শিশুরা যাতে হাঁস-মুরগি-কবুতর কিংবা অন্যান্য পাখি নিয়ে খেলা না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* কোনো শিশু হাঁস-মুরগি-পাখি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে দিন।
* বাড়ির ছাদে হাঁস কিংবা মুরগি পালন করলে খাঁচাগুলো এমনভাবে ঢেকে রাখুন, যাতে উড়ন্ত পাখির বিষ্ঠা সেগুলোয় না পড়তে পারে।
স্বাস্থ্য সচেতনতায় যা করবেন
* আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে রান্না করা হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির মাংস খাওয়া যাবে।
* সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে ডিম খাওয়া যাবে। অর্থাৎ অমলেট, রান্না করা, দুই পিঠেভেজে পোচ, মামলেট ইত্যাদি উপায়েডিম খাওয়া যাবে। হাফ-বয়েল ডিম খাওয়া যাবে না।
* হাঁস, মুরগি, কবুতর, পাখি ইত্যাদি ধরা, ছোঁয়া, নাড়াচাড়া কিংবা জবাই করার পর ছুরি, বঁটি ইত্যাদিসহ হাত সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে।
* শুধু ফার্মের হাঁস-মুরগি নয়, গৃহপালিত হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
* যারা খামারি, অর্থাৎ খামারের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের হাঁস-মুরগি প্রতিপালনের সময়নাক-মুখ ঢেকে কাজ করতে হবে।
* যারা বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত এলাকায়হাঁস, মুরগি, পাখিনিধনের সঙ্গে জড়িত, তাদের সরকারিভাবে সরবরাহ করা পোশাক, গ্লাভ্স, মাস্ক, মাথার ক্যাপ ইত্যাদি যথাযথভাবে পরতে হবে।
* প্রতিবার হাঁস, মুরগি, কবুতর ও পাখির সংস্পর্শেআসার পর সাবানপানি দিয়েভালোভাবে দুই হাত কবজি পর্যন্ত উভয় দিকে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* শিশুরা যাতে হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখি নিয়েখেলা না করে সেদিকে খেয়ালরাখুন। কোনো শিশু হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির সংস্পর্শেএলেসাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়েনিন।
* রান্নার সময়মাংস কাটার পর আলাদা পাত্রে রাখতে হবে। কাটাকুটির পর বঁটি, দা ভালোভাবে সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে। রান্নার জন্যতৈরি কাঁচা মাংস আলাদা রাখতে হবে। অন্যান্যসবজির সঙ্গে মেশানো যাবে না।
* বার্ড ফ্লু ভাইরাস উচ্চ তাপে (৭০ ডিগ্রিসেন্টিগ্রেড) মরে যায়। তাই হাঁস, মুরগি, পাখি, কবুতরের মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
হঠাৎ ফ্লুতে আক্রান্ত হলে কী করবেন
* সাধারণসিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত হলেভয়ের কোনো কারণনেই।
* বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়না।
* হাঁস, মুরগি, কবুতর, পাখি লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত কিংবা খামারে কাজ করেন, এমন কেউ হঠাৎ ফ্লুতে আক্রান্ত হলেসঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শনিন।
* যেসব এলাকায়ইতিমধ্যে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে সেখানেকেউ হঠাৎ ফ্লুতে আক্রান্ত হলে,অর্থাৎ জ্বর, সর্দি-কাশি, গায়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণদেখা দিলেসঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শনিন এবংপ্রতিরোধের জন্যটামিফ্লু বা অন্যওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শঅনুযায়ী সেবন করুন।
বার্ড ফ্লুঃ স্বাস্থ্য-সচেতনতায় যা করবেন
* আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে রান্না করা হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির মাংস খাওয়া যাবে।
* সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে ডিম খাওয়া যাবে। অর্থাৎ অমলেট, রান্না করা, দুই পিঠেভেজে পোচ, মামলেট ইত্যাদি উপায়ে ডিম খাওয়া যাবে। হাফ-বয়েল ডিম খাওয়া যাবে না।
* হাঁস, মুরগি, কবুতর, পাখি ইত্যাদি ধরা, ছোঁয়া, নাড়াচাড়া কিংবা জবাই করার পর ছুরি, বঁটি ইত্যাদিসহ হাত সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে।
* শুধু ফার্মের হাঁস-মুরগি নয়, গৃহপালিত হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
* যারা খামারি, অর্থাৎ খামারের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের হাঁস-মুরগি প্রতিপালনের সময়নাক-মুখ ঢেকে কাজ করতে হবে।
* যারা বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত এলাকায় হাঁস, মুরগি, পাখিনিধনের সঙ্গে জড়িত, তাদের সরকারিভাবে সরবরাহ করা পোশাক, গ্লাভ্স, মাস্ক, ক্যাপ ইত্যাদি যথাযথভাবে পরতে হবে।
* প্রতিবার হাঁস, মুরগি, কবুতর ও পাখির সংস্পর্শেআসার পর সাবানপানি দিয়েভালোভাবে দুই হাত কবজি পর্যন্ত উভয় দিকে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* শিশুরা যাতে হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখি নিয়েখেলা না করে সেদিকে খেয়ালরাখুন। কোনো শিশু হাঁস, মুরগি, কবুতর বা অন্যপাখির সংস্পর্শেএলেসাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়েনিন।
* রান্নার সময়মাংস কাটার পর আলাদা পাত্রে রাখতে হবে। কাটাকুটির পর বঁটি, দা ভালোভাবে সাবানপানি দিয়েধুয়েফেলতে হবে। রান্নার জন্যতৈরি কাঁচা মাংস আলাদা রাখতে হবে। অন্যান্যসবজির সঙ্গে মেশানো যাবে না।
* বার্ড ফ্লু ভাইরাস উচ্চ তাপে (৭০ ডিগ্রিসেন্টিগ্রেড) মরে যায়। তাই হাঁস, মুরগি, পাখি, কবুতরের মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
ডাজ্ঝ ইকবাল কবীর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রোগতত্ত্ববিদ